কিয়েভে রাশিয়ার ভয়াবহ হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে চারজন শিশু। এছাড়া আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন। স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ার হামলায় একটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধজাহাজও লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। এতে অন্তত একজন নাবিক নিহত হয়েছেন।
হামলার ফলে ইউক্রেনের রাজধানীর একাধিক আবাসিক এলাকা ধ্বংসস্তুপে পরিণত হয়েছে। এতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি সংস্থা, ব্রিটিশ কাউন্সিলের ভবন, আজারবাইজানি দূতাবাস এবং একটি তুর্কি প্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এমন অবস্থায় যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার এক্সে লিখেছেন, পুতিন শিশু ও সাধারণ নাগরিকদের হত্যা করছে, শান্তির আশা ধ্বংস করছে। এই রক্তপাত অবিলম্বে বন্ধ হতে হবে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, গত রাতের হামলা ‘রাশিয়ার শান্তির ধারণা—ভীতি ও বর্বরতা’।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জও মন্তব্য করেছেন, রাশিয়া ‘গত রাতেও তার প্রকৃত চেহারা দেখিয়েছে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার ‘বৃহৎ হামলা’কে নিন্দা জানিয়ে নতুন ও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান জানিয়েছেন। কিয়েভের মেয়র শুক্রবারকে শোকের দিন ঘোষণা করেছেন।
হামলার পর যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত এবং রাশিয়ার ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি তলব করা হয়েছে। যুক্তরাজ্য পররাষ্ট্র দফতর সতর্ক করেছে, আরও হামলা হলে এটি ব্রিটিশ ও ইউরোপীয় ঐক্য আরও বৃদ্ধি করবে।
সূত্র: বিবিসি
