শনিবার (১ মার্চ) রাজধানীর কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউস্থ বোরাক ইউনিক হাইটসে ই-জিপি নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী অনুষ্ঠানে বিএসএমএমইউ উপাচার্য এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম বলেন, এখন পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-জিপি বাস্তবায়ন না করায় অনেক সমালোচনা হচ্ছে। এই ব্যবস্থা আরও আগে থেকেই অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু হওয়া প্রয়োজন ছিল। ই-জিপি সিস্টেম বাস্তবায়ন করতে পারলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক ব্যবস্থাপনায় সৃষ্ট হওয়া অনেক প্রশ্নের সমাধান বা উত্তরণের ক্ষেত্রে বিরাট ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন, ক্রয় প্রক্রিয়া নিয়ে অনেককিছু ঘটে থাকে। প্রশাসনের ওপর চাপ থাকে। দ্বন্দ্ব, হানাহানি পর্যন্ত ঘটে। ই-জিপি সিস্টেম এসব থেকে মুক্তি দিবে। তাই শিগগিরই ক্রয়ের ক্ষেত্রে গতানুগতিক প্রক্রিয়া থেকে বের হয়ে এসে ই-জিপি সিস্টেমকে ব্যবহার করে সততার সঙ্গে অধিকতর স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা জরুরি।
এর আগে ২৩ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোনীত ২০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। সমাপনী দিনে প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে প্রধান অতিথি হিসেবে সনদ বিতরণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার, আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক নুরুন নাহার খানম, পরিচালক (হাসপাতাল) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবু নোমান মোহাম্মদ মোছলেহ উদ্দিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে দোহাটেক’র নলেজ অ্যান্ড ট্রেনিং বিভাগের পরিচালক মোসাম্মৎ তাসলিমা আক্তার তার বক্তব্যে প্রদান প্রশিক্ষণের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করেন। সঞ্চালনা করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ডা. তারিক রেজা আলী।